তিনি আরও বলেন, আমার প্রজন্ম থেকে শুরু করে আমার পরের প্রজন্মেও একটি আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে কিন্ত নতুন প্রজন্মের এই মেলার প্রতি আকর্ষণ কমে যাচ্ছে বলে তিনি ধারণা করেন। আর এইখানকার একটি সব চাইতে ভালো দিক আমাকে আলোরিত করে যে এখানে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোন প্রশ্ন উঠে না, সবাই মেলা কে ঘিরে একটি আনন্দমূখর পরিবেশ তৈরি করে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা পবন সরকার বলেন, এই বুড়ি ঠাকুরের মন্দিরটি আমাদের শরিক বাড়ির মন্দির। আমারা সেই ছোট্ট বেলা থেকেই দেখে আসছি এই মেলা। আমার জানা মতে দুই-চাইর পুরুষ গেছেগা এই পূজা হয়। আগে মুরুব্বিরা যেমনে পূজা করছে ওই ভাবেই চেয়ারম্যানের কাছে থিকা ৩দিনের অনুমতি নিলেও তা আমরা মেলা পরিচালনা করতে পারি না।
মন্দিরের স্থানীয় পূজারী পরেশ বাড়ই বলেন, আমার তাঐ ঠাকুরদার আমলে ঠিকা এই বুড়ির পূজা। ঠাকুরদা কইরা গেছে বুড়ি পূইজা। আমার বাবা করছে, আমার জ্যাঠা করছে এহন আমি করতাছি। প্রায় ৭ পুরুষে এই পূইজা চইলা গেছে। বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানের লোকজন দেবি বুড়ি মায়ের কাছে মানত করতে আসেন বলে তিনি জানান।
তবে এই মেলার কোন কমিটি নেই বলে জানান এলাকাবাসী। তারা জানান স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমেই মেলার পরিবেশ বজায় থাকে।
সব মেলাই কোন না কোন সম্প্রদায়ের, কোন না কোন ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। তবে মেলা মানেই হচ্ছে ‘মিলন’। মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন, ভাবের ও সংস্কৃতির মিলন ও আদান-প্রাদান। মেলাতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাগত।তবে আগে এক মাসব্যাপী মেলা চললেও কয়েক বছর ধরে এক সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে মেলার আমেজ।