রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

থাইল্যান্ড নির্বাচনে বিরোধীদের জয়জয়কার

কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স >>

সেনাবিরোধী গণতন্ত্রপন্থি বিরোধী শক্তি থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়েছে। ৯৯ শতাংশ ভোটগণনার পর পরিষ্কার, চলতি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ। তারা বিরোধী দুই দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) এবং ফেউ থাই পার্টিকে বিপুল ভোট দিয়েছে।

৪০০ আসনের পার্লামেন্টে এখনো পর্যন্ত এমএফপি পেয়েছে ১১৩টি আসন। ফেউ থাই পার্টি পেয়েছে ১১২টি আসন। ফেউ থাই পার্টির নেতা পায়তোংতার্ন শিনাওয়াত্রা। সাবেক শাসক থাকসিন শিনাওয়াত্রার মেয়ে সে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও এই দুই বিরোধী দল মিলে নতুন সরকার গঠন করতে পারে। সেনার মদতপুষ্ট বর্তমান শাসকদল ইউনাইটেড থাই ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছএ মাত্র ২৩টি আসন।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফল জানা গেলেও এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে না। তা হতে হতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। প্রশ্ন হচ্ছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পার্লামেন্টের জয়েন্ট সেশনে। সেখানে ২৫০ আসনের সেনেট আছে। এই সেনেট বর্তমান শাসকদলের হাতে। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করবে সেনেটের হাতে।

গত এক দশকে একাধিক সেনা অভ্যুত্থান দেখেছে থাইল্যান্ড। দেশটির সংবিধানও বদলে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২০ সাল থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সেনারা যা কড়া হাতে মোকাবিলা করে। ছাত্রদের দাবি ছিল সেনার তৈরি সংবিধানের বদল এবং রাজার ক্ষমতাহ্রাস। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই ছিল তাদের। বর্তমান বিরোধীপক্ষ ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক। তারাও গণতন্ত্রের জন্য লড়ছে। ফলে এই জয়ে দেশের গনতন্ত্রপন্থিরা অত্যন্ত আনন্দিত। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিরোধীপক্ষ কতটা সুযোগ পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স, এপি

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas