রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে। দেশটির রাখাইন রাজ্যকে রীতিমতো লন্ডভন্ড করে দিয়েছে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। মোখার তাণ্ডবলীলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মিয়ানমারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মোখার সম্ভাব্য গতিপথ ছিল বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন হয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণকারী নাফ নদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন থেকেও প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণ দিক দিয়ে মিয়ানমারে চলে যাওয়ার পর দেশটির উপকূল অতিক্রম করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ে শহরের কাছ দিয়ে এটি স্থলভাগে ওঠে।
রবিবার, ১৪ মে বিকেলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ে শহরে তীব্র আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয় ঘণ্টায় ২৫৯ কিমি যা ক্যাটাগরি ফাইভ হারিকেনের সমান।
ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের আগেই দেশটির বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন ১২ লক্ষাধিক মানুষ। বিগত ১৩ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এটি ছিলো মিয়ানমারের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়। সর্বশেষ ২০১০ সালে সাইক্লোন গিরির তাণ্ডবলীলায় ৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন দেশটিতে।