বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

স্বামীর নির্দয় নির্যাতনে গৃহবধূ সাবিনা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া >>

পাষন্ড স্বামী রাকিব হাওলাদার নির্দয়ভাবে মারধর করেছে স্ত্রী এক সন্তানের জননী আক্তার কে (২০)। জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর বসে কিল, ঘুষি, লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। নাকমুখে, চোখে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে ঘন্টাব্যাপী নির্দয় নির্যাতনে সাবিনা এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সাবিনাকে কোন ধরনের চিকিৎসা না করে ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজন সাবিনার মাকে মোবাইল করলে তারা গিয়ে মঙ্গলবার সকালে অচেতন অবস্থায় সাবিনাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। সাবিনার মুখমন্ডল ফুলে চেহারা বিকৃত হয়ে আছে। এক চোখ লাল হয়ে গেছে। রক্ত জমে গেছে। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠিয়েছে। খবর নির্যাতিতা সাবিনাসহ তার পরিবারের অভিযোগ সূত্রের।

১৩ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রাবেয়াকে নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কান্না জুড়ে দেন এই তরুণী সাবিনা। সে জানায়, ছয় বছর আগে আমতলীর বসার চৌকিদারের ছেলে রাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাবিনার বাবার বাড়ি কলাপাড়ার ধানখালী গ্রামে। বাবা নেই। সাবিনা জানায়, বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে। কখনও মোটরসাইকেল, কখনও নগদ টাকা চাইতে থাকে। তারপরও দরিদ্র পরিবারের সাবিনার মা লিপি বেগম গবাদিপশু থেকে যখন যা পেরেছেন মেয়ের সুখের আশায় দিয়েছেন। এরপরও মন গলেনি রাকিবের। যখন-তখন মারধর করতে থাকে। যা এখন চরমে পৌছেছে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রাকিব দমেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাকিব বলেন, ‘আমরা দুইজনে মঙ্গলবার সকালে ভাত খাচ্ছিলাম। এরপরে ঘর ঝাড় দেয়ার সময় একটি খ্যাচি ফ্যান ভেঙ্গে ফেলে সাবিনা। এনিয়ে একটু কথা হয় নিজেদের মধ্যে। সাবিনা দৌড়ে পুকুরপাড়ে যায়। তখন রাগের মাথায় তাকে একটি লাথি দেই। নিচে পড়ে আহত হয়। তারপরে আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ এনে খাইয়েছি। এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন এসে আমার অনুরোধ না শুনে আমার স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে গেছে। আর যৌতুকের কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা।’ এব্যাপারে এই রোগীর কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিমা জাহানকে মোবাইল করলে তিনি বলেন, এখন বাইরে রয়েছি। বলেই সংযোগ কেটে দেন।

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas