বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

কলাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নজরুল সংগীত সন্ধ্যা

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া >>

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নজরুল সংগীত সন্ধ্যা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা বাউল সংঘ ও বাউল সমিতি এর আয়োজন করে। কবির জন্ম জয়ন্তীতে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহনে পরিবেশিত হয় একের পর এক নজরুল সংগীত ও আবৃতি। আলগা করো খোপার বাঁধন, আমি যার নুপুরের ছন্দ, শাওনো রাত যদি, এতো জল ও কাজল চোখে, মোর ঘুম ঘরে এলে মনোহর, আমার খোকার মাষি শ্রী অমুক বালা দাসী, আজকে হইব মোর বিয়ে এসব গানের সুর ও তালের ঝংঙ্কারে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য বিলকিস জাহান। এছাড়া অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্নিমা রানী, উপজেলা বাউল সমিতির সভাপতি মো.মাহাবুবুর রহমান আজাদ, বাউল সংঘের সভাপতি গাজী মো.বাবুল, সাধারন সম্পাদক মো.শামিম বেপারী, সাংবাদিক উত্তম কুমার হাওলাদার,এস কে রঞ্জন, ওমর ফারুক, রাসেল মোল্লা সহ স্থানীয় সংগীত শিল্পীরা।
নজরুল সংগীত শিল্পী ও তবলা বাদক জগন্নাথ শিকদার বলেন, নজরুল গীতি এখন বাংলা সংস্কৃতির এক উল্লেখযোগ্য গৌরবময় সম্পদ। যতদিন যাচ্ছে তত কদর বাড়ছে। বাড়বেই, না বেড়ে উপায় নেই। কেননা নজরুল গীতিতো কেবল গীত নয়-অমৃত সুর সুধায় সিক্ত এক অপূর্ব আস্বাদন সামগ্রী। সুরে ও বানীর মালা দিয়ে আর কোন গীতিকার ও সুরকার বাঙালী মানসকে এমন গভীর আবেগে স্পর্স করতে পারেনি। তবে যথাযথ উদ্যোক্তার অভাবে ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে সুর ও তালের লহরী এমটাই জানিয়েছেন এই শিল্পী।
উপজেলা বাউল সংঘের সাধারন সম্পাদক মো.শামিম বেপারী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাউলদের স্বত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাই আমরা বাউলরা কবির প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রতি বছরই তার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এ ধরনের অয়োজন করে থাকি। এছাড়াও লালন সাইজী, হাসন রাজা,বাউল আব্দুল করিম, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, রশিদ সরকার,উকিল মুন্সি সহ গুনিজনদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি।

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas