রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০

কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স >>

ভারতের ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০-তে। রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারাঙ্গি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে অনেকেই এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন।

ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এএফপির বরাতে এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৮৫০। এনডিটিভির সবশেষ খবর মোতাবেক আহতের সংখ্যা ৬৫০। যদিও সকালেই ভারতের এই বার্তা সংস্থাটি ৯০০ জনের আহতের বিষয়টি জানিয়েছিল।

দেশটির কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন, ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভারতে এটিই সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। আমরা তদন্তের পরই বিস্তারিত জানতে পারব। এ ছাড়া রেল পুনরুদ্ধার কাজও অবিলম্বে শুরু হবে। তার জন্য কর্মী ও সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। তবে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা।’

যারা এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, তাদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের জন্য ২ লাখ এবং যারা সামান্য আহত হয়েছেন তাদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী।

উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে এবং আশপাশের জেলাগুলোর সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ এনডিটিভকে জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগের কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন ২০০ পুলিশ সদস্য, ৩০ জন ডাক্তার। আহতদের হাসপাতালে নিতে ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।

এর আগে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় এটি।

মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেওয়ায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির প্রথম তিনটি বগি ছাড়া বাদবাকি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন উঠে যায় মালবাহী ট্রেনের ওপর।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটবার্তায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক গভীর প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

ভারতের আন্তঃরাজ্য যোগাযোগের জন্য ট্রেন খুবই জনপ্রিয়। তবে তাদের রেলযাত্রার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ট্র্যাজেডি। ১৯৮১ সালের জুনে বাগমতী নদীতে ট্রেন ছিটকে পড়ে ৯০০ জন নিহত হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের আগস্টে পশ্চিমবঙ্গে ব্রহ্মপুত্র মেইল নামে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ইন্দর-পাটনা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১৫০ জন এবং ২০১৭ সালের আগস্টে মুজাফফরনগরে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২৩ জন নিহত হন। এ ছাড়া ভারতজুড়ে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়।

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas