রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
ইসলামি আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ এনে ইউনিয়নের ১০ জন মেম্বার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি মেম্বার কবিরুল ইসলাম খলিফা।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালের ১৫ জুন নির্বাচনে হাফেজ আব্দুর রহিম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শপথ গ্রহনের পর থেকে ২০২৩ সালের শুরু থেকে ইউনিয়নের যেসব সরকারি বরাদ্দ পেয়েছি তা পরিষদের সদস্যগণকে অবগত করেননি। তিনি নিজের ইচ্ছামতো ইসলামি আন্দোলনের লোকদ্বারা ভাগবন্টন করছেন। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন নি। ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত পুরনো লোহার ব্রিজ দুই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ১৭৮৪ জন জেলেদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে তোলার জন্য মেম্বারদের নির্দেশ দেন। এই তালিকা যাচাই বাছাই করতে টাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেন। থোক বরাদ্দ এবং এক পারসেন্টের টাকা থেকে গোডাউন মেরামত ও বালু ভরাট প্রকল্পের নামে মাত্র তিন লাখ ৭০ হাজার টাকার আংশিক কাজ করেছেন। মসজিদের অজুখানা ও ল্যাট্রিন নির্মাণের নামে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ইট-খোয়া দিয়ে কাজ করেছেন। এজন্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ টাকা তোলা হয়েছে। থোক বরাদ্দের টাকা দিয়ে কী করা হয় তা সদস্যদের (মেম্বারদের) জানানো হয়না। ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের চার লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রকল্প নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। বিভিন্ন খাতের অন্তত পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় এসব বিষয় মেম্বাররা ৫ জুন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি ৬ জুন সভা ডেকে উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই নির্দেশ পালন করেন নি। তিনি তার দলীয় ইসলামী আন্দোলনের লোকজন নিয়ে সভা করেন। চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম নিজের ইচ্ছামতো পরিষদ চালাচ্ছেন বলেও উপস্থিত মেম্বারগণ দাবি করেন।
এবিষয় চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম জানান, সকল নিয়ম কানুন মেনে বিধিমতে পরিষদ চালাচ্ছেন। নিয়মিত সভা করছেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, জেলেসহ বিভিন্ন ভিজিএফএর চাল বিক্রিতে বাধা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।