রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
বিষয়টা অবধারিতই ছিল। আগের দিনই হলফ করে বলা যাচ্ছিল, রেকর্ডগড়া এক জয়ই পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দূরত্ব ছিল ৮ উইকেটের। সেটা ঘুচিয়ে জয়টা নিশ্চিত করতে পেসাররা সময় নিলেন মোটে এক সেশন। ফল ৫৪৬ রানের বিশাল এক জয়।
মিরপুরে দিনের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন নাসির জামাল। দলীয় ফিফটি পূর্ণ হওয়ার আগেই আউট হয়ে ফেরেন। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন নাসির।
এরপর পালা শরিফুল ইসলামের। অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থের একটু পেছনে বলটা ফেলেছিলেন শরিফুল। সেটাই আফসার জাজাই তাড়া করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটে-বলে তো হয়ইনি, উল্টো ব্যাটের কোনায় লেগে বলটা চলে গেছে উইকেটের পেছনে। সেখানে মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যাচটা লুফে নিতে ভুল করেননি। ১২ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন আফসার।
চতুর্থ উইকেটটা শরিফুল ইসলাম তুলেছিলেন, পঞ্চম ব্যাটারের হন্তারকও সেই তিনিই। আগের উইকেটটা তিনি নিয়েছিলেন অ্যাঙ্গেল বদলে। এবারও একই টোটকায় পেয়ে গেলেন উইকেটের দেখা।
কনকাশন সাব হিসেবে আসা বাহির শাহকে শরিফুল বলটা করেছিলেন খাটো লেন্থে। সেটা সামলাতে পারেননি বাহির। তার ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে থাকা তাইজুল ইসলামের হাতে। বাহিরের অভিষেক ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৭ রান তুলতেই। ৭৮ রান তুলতেই আফগানিস্তান খোয়ায় ৫ উইকেট।
তাসকিন দৃশ্যপটে আসেন এরপর। রহমত শাহকে ফেরান তিনি। এর পরের ২টি উইকেটও গেল তার ঝুলিতে। যেতে যেতেও গেল না শেষটা, না হয় ৫ উইকেটও হয়ে যেত তাসকিনের। জহির খানকে দুবার ‘আউট’ করেও উইকেটটা শেষমেশ পেলেন না তিনি।
ম্যাচটা শেষ হলো সেই জহিরকে বিদায় করেই, সেটা করলেন তাসকিনই। তার ১ বাউন্সার গিয়ে লাগল তার মাথায়। আহত অবসর হলেন তিনি। ম্যাচের যবনিকা পড়ল সেখানেই।
৫৪৬ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে। গড়ে ফেলে রেকর্ডও। এটাই যে টেস্টে দলের সর্বোচ্চ রানের জয়!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৩৮২
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস : ১৪৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ৪২৫/৪ ইনিংস ঘোষণা
আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : (লক্ষ্য ৬৬২) ৩৩ ওভারে ১১৫ (রহমত শাহ ৩০, করিম জানাত ১৮, তাসকিন আহমেদ ৩৭/৪, শরিফুল ইসলাম ২৮/৩)