Sujan Mridha
- ২৬ জুন, ২০২৩ / ২৪৩ বার

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া >>
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে দুর্ঘটনায় শিকার পর্যটকদের উদ্ধারকারী টিম তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে এই টিম তৈরি করেন টুরিস্ট পুলিশ।
সোমবার শেষ বিকেলে উদ্ধারকর্মী এই টিমের টিম লিডার মোঃ লিটন খানের হাতে টি শার্ট তুলে দিয়ে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়।ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।এসম উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ, হুমায়ুন কবির ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
জানা যায়, কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসে সাঁতার না জানায় বিগতদিনে অনেক পর্যটক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে এমনকি মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাই সৈকতে স্পিডবোট এবং স্কেটি চালকদের মধ্যে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং দীর্ঘদিন স্বেচ্ছাসেবী কাজ ১২ জনকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই উদ্ধার কর্মী বাহিনী গঠন করে পুলিশ এবং এদের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন।সাইফুল ইসলাম(কালু) নামের এক উদ্ধার কর্মী বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে স্পিডবোট চালাই এবং আমরা সৈকতে অনেক দূর্ঘটনার শিকার পর্যটকদের উদ্ধার করেছি এখন আমাদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে উদ্ধার কর্মী হিসেবে বেছে নিয়েছে।
এই উদ্ধারকর্মী টিমের টিম লিডার মোঃ লিটন খান বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে উদ্ধারকর্মী হিসেবে সরকারি কোন টিম বা কোন তদারকি নেই। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই উদ্ধার কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি স্বেচ্ছায়। আজকে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে আমরা উদ্ধার কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পেলাম। সরকার যদি আমাদের এই উদ্ধার কার্যক্রমে সহযোগিতা করে তাহলে পর্যটকদের পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে পারবো।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে দুর্ঘটনার স্বীকার এবং সাঁতার না জানা পর্যটকরা বিভিন্ন সময়ে গভীর সমুদ্র চলে যায়। এগুলো আমাদের পক্ষে সব সময় সম্ভব না হওয়ার কারণে প্রশিক্ষিত ১২ জন উদ্ধার কর্মী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি। তারা অনেক সময় এই সৈকতে উদ্ধার কাজে ভূমিকা রাখছে। আমরা চেষ্টা করব এদেরকে আরো সহযোগিতা করে কুয়াকাটাতে পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে।