রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন তাওহিদ হৃদয় আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তাদের দুজনের ব্যাটিং ঝলকেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ। করিম জানাতের হ্যাটট্রিকের পরও আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেল ১-০ তে।
তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসাইনের লড়াইয়ে ম্যাচটা হাতের মুঠোই নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। ১৮ তম ওভারে এসে রশিদ খানকে মারতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় শামীমকে। তিনি ফিরে যান ২৫ বলে ৩৩ রান করে। উইকেটে আসা মেহেদী মিরাজের দায়িত্বটা পরে দারুণ ব্যাট করতে থাকা হৃদয়কে সঙ্গ দেওয়া। সেটিই করছিলেন তিনি।
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ রান। করিম জানাতের করা প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচটা প্রায় ভাগিয়েই নিয়ে ছিলেন মেহেদী। তবে পরের বলেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর পরপর তাসকিন ও নাসুমকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন জানাত। শুরু হয় নাটকীয়তা। তবে সেই নাটকীয়তার শেষটা করেছেন শরিফুল, দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ১ বল হাতে রেখে ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে আফগানদের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে নড়বড়ে। স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হেনেছেন দুরন্ত ফর্মে থাকা ফজলহক ফারুকি। তার পেস তোপে পরাস্ত হয়ে ফিরে গেছেন ওপেনার রনি তালুকার। তবে ফেরার আগে দলকে দিতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। তার সঙ্গে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৪) ও লিটন দাস (১৮)। তাদের হতাশ করেছেন মুজিব উর রহমান ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে শুরুতে বেশ চাপে ছিল আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের পুঁজি গড়ে আফগানরা। দলের বিপদের সময়ে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে যান নবি। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ৩৩ রানের সঙ্গে নাজিবুল্লাহ জাদরান এনে দেন ২৩ রান। আর ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ দলীয় স্কোরে যোগ করেন ১৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।