রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে পরীক্ষামূলক উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়।
দুপুর ১২টায় এই ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদনের শুরুতে ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বিকেল থেকে এর উৎপাদন ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। এই ইউনিটে ১২৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন করা হবে। উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এই ইউনিটে পুরো সক্ষমতা অনুযায়ী ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের মাঝামাঝি এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে দুটি ইউনিটে বিভক্ত এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনওয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটি শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এই ইউনিটটির উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াটের হলেও প্রাথমিকভাবে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন করা হবে। এ জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডেই সরবরাহ করা হবে।
মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষণমূলক উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ডিসেম্বর মাসে। সেটিতেও পরীক্ষণমূলক উৎপাদনে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট, আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পুরোদমে বানিজ্যিক উৎপাদনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি জাপানের আর্থিক সহায়তার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং আরো ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছাবে।