রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিস একটি নীরব প্রাণঘাতী ও স্থায়ী রোগ। একবার এতে আক্রান্ত হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় এর প্রতিরোধ করা।
ভায়াবেটিস রোগের প্রতিরোধ তিনটি ধাপে করা যায়। প্রথম ধাপ হল প্রাথমিক প্রতিরোধ বা প্রাইমারি প্রিভেনশন। অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করা। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।
১. ছোটবেলা থেকে সবুজ শাকসবজি, মাছ ও কম চর্বি- খাওয়া উৎসাহিত করতে হবে।
২. ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট, আইসক্রিম, ইত্যাদি পরিহার করতে হবে এবং ধূমপানের কুফল সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
৩. সময়মতো ঘুমানো, স্ট্রেস পরিহার করা, ধুমপান বর্জন করা, সর্বোপরি নিয়মানুবর্তিতা মানার মাধ্যমে নিহিত আছে ডায়াবেটিস প্রতিকারের মূল ব্যবস্থা।
৪. শিশু, কিশোর ও বয়স্ক সবার মধ্যেই কায়িক শ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৫. এই সচেতনতা গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক জীবনাচরণ সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্তি, মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সচেতন করে তোলা, সচেতনতা ক্যাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপ:
১. ডায়াবেটিস প্রতিরোধের দ্বিতীয় ধাপ হলো দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদান। রোগের লক্ষণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হওয়া, কখন কেন রক্তের চিনি পরীক্ষা করা জরুরি, শনাক্তকরণ পরীক্ষার সহজলভ্যতা ও ব্যয় সংকোচন-এই বিষয়গুলো সেকেন্ডারি প্রিভেনশনের আওতায় পড়ে।
২. প্রতিবার গর্ভবতী হওয়ার পর অবশ্যই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করলে অনেক জটিলতাই এড়ানো সম্ভব।
তৃতীয় ধাপ:
যাদের ইতোমধ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া ও আরও জটিলতা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
ডায়াবেটিস নীরবে রোগীর চোখ, রক্তনালি, হার্ট, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র ও পদযুগলের ভয়ানক ক্ষতি করে থাকে। জটিল রোগীদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা ও পুনর্বাসন করাও ডায়াবেটিস চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সূত্র: এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।