রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
ঘাতক ব্যাঁধি গ্যাংগ্রিন বাসা বেঁধেছে মনিরের শরীরে। গ্রাস করেছে পা, ডাক্তার জানিয়েছে পা দুটো কেটে না ফেললে জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে শেষ করেছে সহায় সম্বল। হারিয়েছে চলাচলের সক্ষমতা। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছে অবিরত। তাই মনির কে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহব্বান বিত্তবানদের।
খোঁজ নিয়ে জানযায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে দিন মজুর মনির হাওলাদার (৪০) বসবাস করেন। তিন সন্তানের জনক তিনি। স্ত্রী পুত্র নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটছিলো তাদের সংসার। গত ১ বছর আগ থেকে তার জীবনে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। দুই পায়ে চুলকানি শুরু হয়। প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার, এরপর কলাপাড়া, পটুয়াখালী ও বরিশালের ডাক্তার দেখানোর পরে সর্বশেষ ঢাকায় দেখানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ মত সকল ওষুধ খাওয়ানোর পরও পা ভাল হচ্ছেনা। ধীরে ধীরে চামড়া উঠে যাচ্ছে। এখন অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে দিন পার করছে। এরই মধ্যে পায়ে পঁচন ধরেছে। খসে গিয়েছে কয়েকটি আঙুল। ডাক্তার বলছেন যত দ্রুত সম্ভব পা দুটো কেটে ফেলতে হবে। অন্যথায় জীবন সংসয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কান্না জরিত কন্ঠে মনির জানায়, অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সহায় সম্বল যা কিছু ছিল সবকিছু চিকিৎসার পিছনে শেষ করছে। বর্তমানে তিনি একেবারে সর্ব শান্ত। চিকিৎসার ব্যায় মেটানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। নিরুপায় হয়ে চিকিৎসার খরচ জোগাতে মানুষের দ্বারে হাত পেতেছেন।
মনিরের স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সে নীলগঞ্জে তার দুঃসর্ম্পকের আত্মীয়ের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে। মনির অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় তারা অতি কষ্টে দিন পার করছে। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব শেষ এখন শুধুমাত্র বাড়িটা ছাড়া আর কিছুই নাই। তাই কোন উপায় অন্তর না পেয়ে স্বামীকে নিয়ে সাহায্যের আশ্রয় গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, দশ দুয়ারে হাত পেতেছি সকলের সহযোগীতায় স্বামী যদি সুস্থ হয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আহত মনিরের জন্য সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করতে হবে। পরে তিনি ব্যক্তিগত এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিরকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।