রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের ১১ কিলোমিটার চরম বেহাল দশায়।। খানা-খন্দে একাকার।

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া >>

এখন আর কোন যানবাহন চলাচলের উপযোগী নেই সড়কটির ১১ কিলোমিটার অংশ। কত হাজার খানা-খন্দ হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। বড় বড় হাটুসমান গর্তে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার যানবাহন। এক কথায় খানা-খন্দে একাকার। বলছিলাম কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর টোল ঘরের থ্রি-পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে বেহাল দশার চালচিত্র। দীর্ঘ নয় বছর ঠিকাদারের সঙ্গে মামলা থাকায় সড়কটির সংস্কারের কাজ যথাযথভাবে টেন্ডার দিয়ে করার সুযোগ ছিল না। ফলে সড়কটি সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকে। কখনও কখনও জরুরিভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ টুকিটাকি মেরামত করেছে। কিন্তু যথাযথভাবে এই অংশের সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সড়কটি সম্পুর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। থ্রি-হুইলার যানবাহন প্রতিদিন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ এই ১১ কিলোমিটার অংশের বেহাল দশায় পড়েছেন বিপদে। তবে সওজের একটি সূত্র দাবি করেছে আগামি দুই-তিন মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গভাবে এই ১১ কিলোমিটারের সংস্কার করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৯-২০১৪ অর্থ বছরে এ সড়কের পাখিমারা থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের উন্নয়ন কাজ করে ‘রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তখন ব্যয়-বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা। ওই কাজ মানসম্মত না হওয়ায় তখন ঠিকাদারের বিল আটকে দেয় সওজ কর্তৃপক্ষ। প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুটি দল তদন্ত করেন। তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকেও কাজের গুনগত মান ভাল হয়নি বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। নিম্নমানের কাজ করায় সওজ বিভাগ আট কোটি টাকার বিল আটকে দেয়। পরিশোধ করে ১২ কোটি টাকা। এর প্রেক্ষিতে রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এর প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম চুড়ান্ত বিল দাবি করে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে ১১ কিমি সড়কের ওপর সংস্কার কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। যার ফলে গত নয় বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে সড়কটির এ অংশ।
সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সড়কটি টেন্ডার দিয়ে সংস্কারের বাধা অপসারন হয়।
সড়ক ও জনপদ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় টেন্ডার দিয়ে পুর্ণাঙ্গভাবে কলাপাড়া-পটুয়াখালী ২২ কিলোমিটার সড়কের খারাপ ১১ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামি দু’এক মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas