Sujan Mridha
- ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ২৯৭ বার

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া >>
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউরিয়া সার বিক্রিতে চলছে নৈরাজ্য। ডিলারসহ খুচরা বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছ্বামতো দামে বিক্রি করছে সার। খোদ কলাপাড়া পৌরশহরে সারের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৪ শ’ টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা বেশি হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের দোকানিরা খুচরা বিক্রি করছে ৩০ টাকা কেজি দরে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃষকের ওপর এভাবে চেপে বসেছে। আবার কৃষকরা তাদের টাকার ক্যাশমেমো চাইলে তার কাছে সার বিক্রি করতে চায় না ডিলারসহ দোকানিরা। সারের কোন সঙ্কট নেই। কিন্তু চলছে নৈরাজ্য। কৃষক জিম্মি হয়ে আছে।
কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যানুসারে কলাপাড়ায় বিসিআইসির ১৪ জন ডিলার রয়েছে। এছাড়া খুচরা বিক্রেতা রয়েছে ১১৮ জন। সরকারি নির্দেশনা রয়েছে কৃষকের কাছে ২৭ টাকা কেজি দরে ১৩৫০ টাকায় ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি করতে হবে। খুচরা বিক্রেতারা ডিলারদের কাছ থেকে ১৩৩০ টাকা বস্তা দরে সার কিনতে পারবেন। কিন্তু সরকারি এসব নিয়মে ধার ধারেন না ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা। নীলগঞ্জের এক সবজি চাষী জানান, তাদেরকে খুচরা ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে সার কিনতে হচ্ছে। আর বস্তায় দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১৪০০ টাকা। এছাড়া কোন দোকান থেকে কোন ক্যাশমেমো দেয় না।
তবে নীলগঞ্জের ডিলার সাজবিন সিদ্দিকা পরশমনি এর ম্যানেজার সন্তোষ কুমার জানান, তারা ১৩৫০ টাকার বেশিতে সার বিক্রি করেন না। আর ক্যাশমেমো দেন বলেও দাবি করেন। সরকার নির্ধারিত রেট মেনেই বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, সারের কোথাও কোন সঙ্কট নেই। আগস্ট মাসের বরাদ্দকৃত ১২৪২ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ডিলাররা উত্তোলন করেছেন। সেপ্টেম্বরে বরাদ্দ রয়েছে ১১৭৮ মেট্রিকটন সার। কেউ যদি বেশি দামে সার বিক্রি করে। কৃষকের অভিযোগ পেলে ডিলার কিংবা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে কৃষককে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন এ কৃষিবিদ।