রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
বোলিংয়ে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে বাংলাদেশ। তবে ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন শুবমান গিল। কিন্তু অন্য প্রান্তে চলছে উইকেটের আসা-যাওয়া। তারই মাঝে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। সূর্যকুমার যাদবকে (২৬) বোল্ড করেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। সুইংয়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে পরাস্ত করেছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
তানজিম সাকিবের জোড়া আঘাতের পর জ্বলে ওঠেন মেহেদী হাসান। ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুলকে। পরে ঘূর্ণি জাদু দেখালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তারকা এ অলাউন্ডার ফেরান ইশান কিষাণকে। আউট হওয়ার আগে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। সব মিলিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে এখনও চাপেই আছেন ভারতীয়রা ব্যাটাররা।
শুরুতেই দুরন্ত বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নিয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। দাপুটে বোলিংয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে। পরে নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পেলেন আরও একটি উইকেট। অভিষিক্ত তানজিম এবার বোল্ড করেছেন আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার তিলক ভার্মাকে।
৫৯ রানে চার টপ-অর্ডার ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর শঙ্কা জেগেছিল লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারবে তো বাংলাদেশ। সেই শঙ্কা দূর করে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। সাকিবের ৮০, হৃদয়ের ৫৪, শেষ দিকে নাসুমের ৪৪ ও মাহেদীর অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট ছুড়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের আগেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তামিম, লিটন ও বিজয়। ধাক্কা সামলাতে এসে মিরাজকেও হারান সাকিব। এরপর লড়ছিলেন তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে গড়েছিলেন ১০১ রানের পার্টনারশিপ। তিনি নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। এরপর হঠাৎ শার্দুল ঠাকুরের বলে ৮০ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। উইকেটে এসেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান শামীমও। ফের শঙ্কা জাগে দুশ পেরোনো নিয়ে। অবশ্য সেই শঙ্কা দূর করেছেন নাসুম ও মাহেদী। দুজনে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হলে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। হৃদয় ৮১ বলে ৫৪ রানে আউট হওয়ার পর ৪৫ বলে ৪৪ রান করেন নাসুম। পরে শেষ টানেন মাহেদী। অভিষিক্ত সাকিবকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন মাহেদী। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৯ রান। তরুণ সাকিব অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১৪ রানে।