রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আবদুল গণির জালে ফের ১০টি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। মাছগুলোর ওজন ১১৫ কেজিরও বেশি। তিনি এই মাছগুলোর দাম হাঁকছেন সাড়ে ২০ লাখ টাকা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ভোরে আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি গণি’ ফিশিং ট্রলারের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে। গণি ‘পোপা গণি’ হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।
সকাল ৮টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছ দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। পরে পোপা মাছগুলো টেকনাফের ফিশারি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। মাছগুলো ‘কালা পোপা’ নামেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দশটি পোপা মাছ ধরা পড়ার খবর পেয়েছি। এ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি। এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। পোপা মাছের বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে এই মাছের দাম অনেক বেশি।
ট্রলারের মালিক আবদুল গণি বলেন, ‘ভোর রাতে কোরাল জালে ধরা পড়েছে দশটি ১১৫ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ‘কালা পোপা’। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কেজি থেকে ২০ কেজি ওজনেরও আছে। মাছ দশটির দাম চেয়েছি সাড়ে ২০ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত মাছগুলো সেন্টমার্টিনে দাম উঠেছে সাড়ে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভালো দামে বিক্রির আশায় মাছ ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাচ্ছি।’
ট্রলারের মাঝি ওসমান জানান, ‘রবিবার সকালে সাত মাঝি-মাল্লাসহ বঙ্গোপসাগরে যাই। রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ সাগরে জাল ফেলি। ভোররাতে জাল টেনে উঠাতে গিয়ে দেখি কোরাল জালে দশটি বড় বড় কালা পোপা মাছ আটকা পড়েছে। এই দামি মাছগুলো পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি।
সেন্টমার্টিনের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমার্টিনের ট্রলার মালিক আবদুল গণি খুব ভাগ্যবান মানুষ। প্রতিবছর তার ট্রলারের জালে খুবই দামি কয়েকটি করে ধরা পড়ে। চলতি মৌসুমে এইবারও তার জালে দশটি পোপা মাছ ধরা পড়েছে।
২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত আব্দুল গণির জালে পাঁচবারে ১৫টি বড় পোপা মাছ ধরা পড়েছে।