রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১২ অপরাহ্ন
কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স >>
ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ১৮৫ কিলোমিটারে বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে উপকূলীয় অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১০ লাখের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।
জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক ৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে শনিবার রাত ৮.৩০ মিনিটের সময়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। ভয়াল ১২ নভেম্বরকে রাস্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়।
আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও গণমাধ্যমকর্মী রাসেল মোল্লার সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, হুমায়ুন কবির, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নেছার উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী প্রথম আলো, কলাপাড়া নাগরিক অধিকারের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, নাহিদুল হক, কলাপাড়া রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, ফরিদ উদ্দিন বিপু, আমরা কলাপাড়াবাসীর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক, হেমায়েত উদ্দিন, সদস্য মারুফ হাসান, সদস্য মো: ঈসা রুহুল্লাহ প্রমুখ
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭০সালের ভয়াল ১২ নভেম্বর এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজো ভুলতে পারেনি। ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।
উপকূলজুড়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক মানুষের মানুষ। সংকট আর সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্র রেখায় জেগে আছে উপকূল অঞ্চল। এ জনপদের মানুষদের প্রতিনিয়ত প্রতিক‚ল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে। কখনো ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়, কখনো জলোচ্ছ্বাস ভাসে। প্রতি বছর দুর্যোগে হাজারো মানুষের প্রাণনাশ কোটি কোটি টাকার সম্পদহানী ঘটে। চারদিকে শুধু আতঙ্ক আর আতঙ্ক। উপকূলের মানুষের হাজারো সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন। দরকার টেকসই উদ্যোগ।