রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

কলাপাড়ায় ব্রিজ পার হতে কাঠের সাঁকো

কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোটি টাকার ব্রিজ পার হতে হয় কাঠের সাঁকো দিয়ে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার ও মহল্লাপাড়া যাতায়াতের ব্রিজের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ব্রিজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ব্রিজের দুই প্রান্তে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। এদিকে ব্রিজের সংযোগ স্থলের জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে জটিলতা থাকায় মাটি ভরাটের কাজ আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর। উপজেলা প্রকৌশলী নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার সংলগ্ন এ ব্রিজটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২১ সালের মে মাস থেকে ২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ ব্রিজটি দিয়ে ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া, চিঙ্গুড়িয়া, দশকানী, ছোনখলা, চরপাড়া, পশরবুনিয়া ও উত্তর লালুয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়া পায়রা কর্তৃপক্ষ ও শের-ই-বাংলা নৌঘাটির লোকজনদেরও এ ব্রিজটি ব্যবহার করতে হয়। অথচ এ ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাটি ভরাটের কাজ অসমাপ্ত থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকলকে। এ নিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়রা বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে জমির মালিকরা সংযোগ স্থলের জমি ছাড়তে অনীহা দেখাচ্ছে। তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা কাজ শেষ করতে পারি। এদিকে জমির মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, আমাদের ক্ষতিপূরণ দিলেই জমি ছেড়ে দিবো। এমনকি তাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক মাস সময় চেয়েছিলো পটুয়াখালীর পিডি (প্রজেক্ট ডিরেক্টর)। কিন্তু দুই মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো খবর নেইনি বলে ওই জমির একাংশের মালিক হিরণ মৃধা জানান। দৃশ্যমান একটি ব্রিজ থাকলেও তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না কেউ। এ সাঁকো দিয়েই মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় একাধিক পথচারী বলেন, জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিল শুনেছি তার সমাধান হয়েছে। তাহলে কি কারণে ব্রিজের সংযোগ স্থলে মাটি দিচ্ছে না সে বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। অতিদ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের উপযুক্ত করে দিবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি অচল অবস্থায় পড়ে  রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রিজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো সংযুক্ত করে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জনগণের স্বার্থে ব্রিজটির সংযোগ স্থলের মাটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। উপজেলা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী বলেন, জায়গা নিয়ে জমির মালিকদের সঙ্গে জটিলতা থাকায় ব্রিজের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। তবে, তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করবো।

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas