রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

কলাপাড়ায় তালিকায় নাম থাকা জেলের ভাগ্যে চাল জোটেনি

কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স।। জেলে আইডি কার্ড রয়েছে। রয়েছে ইউনিয়নের ভিজিএফর চাল বিতরণ তালিকায় নাম। নম্বর-১১২৬। কিন্তু চাল জোটেনি। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চরগঙ্গামতির জেলে জামাল সিকদারের এমন অভিযোগ। গত ২০ এপ্রিল এই ইউনিয়নের ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হলেও তালিকায় নাম থাকা দরিদ্র জেলে জামালের ভাগ্যে চাল জোটেনি। একই অভিযোগ জাকারিয়া, ইয়াকুব আলী, অলিউদ্দিন, সেকান্দার হাওলাদার, সাহেব আলী হাওলাদার, বারেক, রহমান, রবিউল, আব্দুল মন্নানসহ ২৪ জেলের। তাদের দাবি প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ৮০ কেজি করে চাল স্থানীয় মেম্বার ছিদ্দিক হাওলাদার আত্মসাত করেছে। এসব জেলের আইডি কার্ড জমা নিয়ে আর ফেরত দেয়া হয়নি। হাতের লেখা স্লিপের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বঞ্চিত জেলেরা তাদের জেলে আইডি কার্ড ফেরত চাইলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির এখানেই শেষ নয়। বিতরণ দেখানো ইউনিয়নের মাস্টাররোলের তালিকাভুক্ত পশ্চিম চাপলী ও চরগঙ্গামতির ৯৮৬ নম্বরের আব্দুল কাদের, ১০০১ নম্বরের জাহাঙ্গীর মিয়া, ১০০৭ নম্বরের বাবুল সরদার, ১০১০ নম্বরের ইউনুছসহ অন্তত ১২ মৃত ব্যক্তির নামের ৮০ কেজি করে চাল কাগজপত্রে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে। এমনকি ৯৭০ নম্বর তালিকাভুক্ত পশ্চিম চাপলীর ছোমেদ আকনের ছেলে নাসির হোসেন বিদেশে থাকেন। তার নামের চালও বিতরণ দেখানো হয়েছে। এলাকায় থাকে না ৯৭৯ তালিকার জামাল মোল্লা, ১০০৫ তালিকার মিলন, চরগঙ্গামতির ১০৭৪ নম্বর তালিকার মিজানুর রহমানের নামের চালও কাগজে-কলমে বিতরণ দেখানো হয়েছে। এখানে আট জনের নামের চাল কাগজে-কলমে বিতরণ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। এভাবে অন্তত ৪০ জেলে পরিবারের ভিজিএফএর চাল লোপাটের অভিযোগ এনে গঙ্গামতির বঞ্চিত জেলেরা বুধবার কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রায় তিন মেট্রিক টন চাল লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। যেন হরিলুট।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার ছিদ্দিক হাওলাদার জানান, এবারে তার ওয়ার্ডের ২৮০ জনের পরিবর্তে ২১৮ জনের চাল পাওয়া গেছে। ৬২ জনের চাল কম পাওয়া গেছে। আর মৃত বা এলাকায় থাকে না এমন কাউকে চাল দেওয়ার বিষয় তার জানা নেই। কারণ চেয়ারম্যান ও সচিব উপস্থিত থেকে চাল দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম জানান, এমন অভিযোগের বিষয় তিনিও জেনেছেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, চাল বিতরণে অনিয়ম করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas