সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। গত ১১ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে মোট ৮৮টি স্টল। এর মধ্যে রয়েছে- চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্যের ১৩টি, ফ্যাশন-বুটিকস পণ্যের ৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্যের ১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্পের ৫টি, বিসিক মধু ২টি ও কারুশিল্পীদের ১০টি স্টল।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির বটতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিসিক চেয়ারম্যান মুহম্মদ মাহবুবর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার। একে ঘিরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে। বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছর ধরে গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলার আয়োজন হলেও ইদানিং শহর-নগরেও এ মেলার আয়োজন দেখা যায়। বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত এই বৈশাখী মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি নগরবাসীকে ক্ষণিকের জন্য হলেও অনাবিল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেয়।
তিনি বলেন, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ও প্রদর্শনের সঙ্গে রয়েছে মেলার নিবিড় সম্পর্ক। সিএমএসএমই পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হিসেবে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ই হয় না, নতুন নতুন নকশা, নমুনা, উৎস, দর ইত্যাদির সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পরিচয় ঘটে। তাই পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অন্যতম মাধ্যম হলো মেলা। এবারের বৈশাখী মেলায় একই সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সুলভ মূল্যের বিভিন্ন স্বদেশি পণ্য। এছাড়াও রয়েছে জামদানি, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, নকশিকাঁথা ও নকশি পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, বাঁশ ও বেতের পণ্য, মৃৎশিল্প পণ্য, শতরঞ্জি, শীতলপাটিসহ হরেক কমের স্বদেশি পণ্যের সমাহার।