বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:-

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কখন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

কলাপাড়ার কন্ঠ ডেক্স >>

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি আজ বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তবে তার নাম হবে ‘মোখা’।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বিশেষ বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে। আর গভীর নিম্নচাপকেন্দ্রের কাছের সাগর উত্তাল অবস্থায় আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি আজ বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেছেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আছে। এর গতিপথ পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিমমুখী। কাল পর্যন্ত এটি এভাবেই চলবে। এরপর যখন সাগরের কেন্দ্রে চলে আসবে, তখন আশঙ্কা করছি, এটি উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। অর্থাৎ, ১৪ মে আমাদের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের মাঝামাঝি দিয়ে অতিক্রমের সম্ভাবনা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে তা অতিক্রম করতে পারে। তবে এটি যখন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে, তখন আরও স্পষ্ট করে এর গতিপথ বোঝা যাবে।’

খবরটি ফেইসবুকে শেয়ার করুন।

© All rights reserved -2023 © /kalapararkantho.com
Design & Developed BY Hafijur Rahman Akas